ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের অন্যতম শাখা হলো অভিধান বিজ্ঞান। মূলত অভিধান রচনা ও ব্যবহারের বিষয়টি এ বিজ্ঞানের আলোচিত হয়।
সংজ্ঞা
ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় অভিধান প্রণয়নের প্রক্রিয়া, শব্দ চয়ন, অর্থের বিন্যাস, ব্যুৎপত্তি এবং অর্থানুযায়ী তার প্রয়োগ কৌশল ও বৈচিত্র আলোচিত হয়, তাকে অভিধান বিজ্ঞান বলে।
নির্মাণ
অভিধান রচনার প্রয়াস বহু প্রাচীন কাল থেকে চলে আসে। যাস্কের ‘নিরুক্ত’, অমর সিংহের ‘অমরকোষ’, রাধাকান্ত দেবের উদ্যোগে ‘শব্দকল্পদ্রুম’ -সেই পরম্পরায় উজ্জ্বল উদাহরণ। বর্তমানে বিজ্ঞান ভিত্তিক রীতি প্রয়োগ করে ভাষার ধবনীও অর্থের মধ্যে সংযোগ রক্ষার মধ্য দিয়ে রচিত হয় অভিধান। এখানে অভিধান ব্যবহারের বিজ্ঞানভিত্তিক নীতি নির্দেশনা আলোচিত হয়।
বিশিষ্টতা
বর্তমানে অভিধান বিজ্ঞানের মাধ্যমে শব্দের একাধিক প্রতিশব্দ, তার ব্যুৎপত্তি, স্বীকৃত উচ্চারণ, উপভাষাগত বৈচিত্র, অর্থ পার্থক্য, কালানুসারে অর্থ রূপান্তর, পদ পরিচয় ইত্যাদি আধুনিক আদর্শ অভিধানের বৈশিষ্ট্য বলে চিহ্নিত হয়। অভিধান বিজ্ঞান শুধু অভিধান নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় না, তা ব্যবহারের বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি, কার্যকরিতা, ভাষা সম্পর্কে নানা জিজ্ঞাসা দরজা খুলে দেয়। আর এখানে অভিধান বিজ্ঞানের গুরুত্ব।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর