ভাষাবিজ্ঞানের একটি ফলিত ও সমৃদ্ধ শাখা হলো অভিধানবিজ্ঞান। অভিধানের নির্মাণ উদ্দেশ্যের বিভিন্নতা অনুসারে তা নানা রূপে হতে পারে। যথা-
ব্যবহারিক অভিধান : যেসব অভিধানের ভাষা জিজ্ঞাসাুরা সহজেই কোন শব্দ, তার অর্থ, ব্যুৎপত্তি, পদপরিচয়, আদর্শ উচ্চারণ রীতি ইত্যাদি জানতে পারে সেগুলো হল ব্যবহারে অভিধান। এই অভিনন্দন কে পাঠক-বান্ধব করে তোলার সচেতন প্রয়াস লক্ষ্য করা যায় অভিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে।
তাত্ত্বিক অভিধান : গবেষক, পন্ডিত, ভাষাবিজ্ঞানী, তাত্ত্বিকদের জন্য যে অভিদান প্রণয়ন করা হয়, তাই হল তাত্ত্বিক অভিধান। এখানে শব্দের অর্থগত দিক ছাড়াও আদর্শ উচ্চারণ রীতি, শব্দের জটিলতা ও ব্যতিক্রমী সূত্র, তার বহু মাত্রিক ব্যবহার ইত্যাদি ঈষৎ বিদেশে আলোচিত হয়। এই প্রকার অভিযান তুলনায় অনেক বেশি বিজ্ঞানসম্মত এবং একসঙ্গে সাধারণের ব্যবহারের পক্ষে খানিকটা দুরূহ।
একভাষিক অভিধান : এক ভাষার কোন পুরনো বা আপাত অপরিচিত শব্দকে সেই ভাষাতেই সহজবদ্ধ রূপে ব্যাখ্যা করা হয়ে থাকে এখানে। আবার সেই শব্দের উৎস, তার অর্থান্তর,পদ পরিচয় ইত্যাদি নানা বিষয় উল্লেখ থাকে সম ভাষায়। যেমন-বাংলা থেকে বাংলা।
দ্বিভাষিক অভিধান : এই প্রকার অভিধানের ব্যবহারিক মূল বর্তমানে অপরিসীম। ভাষান্তরের সময় এক ভাষার শব্দ অন্য ভাষায় অনুবাদের ক্ষেত্রে এই অভিধানের ব্যবহার প্রশ্নাতীত। যেমন-ইংরেজি থেকে বাংলা ইত্যাদি। বর্তমানে যোগাযোগের ভাষা হিসেবে ইংরেজি কে ধরা হয় বলে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষা থেকে ভাষান্তরের সময় এই দ্বিভাষিক অভিধানের গুরুত্বক্রমে বেড়ে চলেছে।
ইতিহাসভিত্তিক অভিধান
এই অভিধান অনেকটা তাত্ত্বিক গবেষকদের অভিধানের পরিণত হয়েছে। এখানে কোন শব্দ, তার উৎস, অর্থ ও শব্দের বিবর্তনের পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা স্থান পায়।
এগুলো ছাড়া সামর্থক শব্দের অভিধান, চরিত্রাভিধান, বিষয়ে অভিধান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তবে সবচেয়ে সমৃদ্ধ ও পুর্ণাঙ্গ অভিধানের সার্বিক রূপ বোধ হয় বিশ্বকোষ বা Encyclopedia, সেখানে শব্দ, তথ্য, ইতিহাস তথা জীবনের সমস্ত বিষয়ের ধারণা দেওয়া থাকে।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর