মহাশ্বেতা দেবীর রচিত ‘ভাত’ গল্পে ‘বুড়ো কর্তা’ বলতে বড় বাড়ির মালিক দুজন ব্যক্তিকে সম্বোধন করা হয়েছে। এদের একজন বড় পিসিমার বাবা ও অন্যজন পিসিমার দাদা।
প্রথম বুড়ো কর্তার বিচক্ষণতা
প্রথম বুড়ো : পিসিমার বাবা বুড়ো কর্তা বিচক্ষণ লোক ছিলেন। কর্তার স্ত্রী বিয়োগের পর সংসার সামলানোর জন্য তিনি সামর্থ্য থাকা সত্বেও মেয়ের বিয়ে দেননি। তাকে দেবতার সেবিকা বলে প্রতিষ্ঠা দিয়েছেন।
প্রথম বুড়ো কর্তা দূরদর্শিতা
অসম্ভব দূরদর্শী ছিলেন বুড়ো কর্তা। তার বুদ্ধি ও দূরদর্শিতার কারণে পরবর্তী প্রজন্ম বিলাসিতায় দিন কাটাতে পেরেছেন। 18 টি দেবত্র বাড়ি ও বাধা অঞ্চলে অসাগর জমি করেছিলেন তিনি জীবন কালে। না না অজুহাতে সমস্ত সম্পত্তির শিব ঠাকুরের নামে করে দিয়েছিলেন ধৃর্ত বুড়োকর্তা।
দ্বিতীয় বুড়ো কর্তার বিলাসিতা
দ্বিতীয় বুড়ো : অন্যদিকে তার পুত্র, বর্তমান ব্যুরো কর্তাকে প্রত্যক্ষভাবে দেখা না গেলেও তাকে ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত। লিভার ক্যান্সারের আক্রান্ত পুরো কর্তা জীবন খুব দামি। তাই তার আয়ু রক্ষার জন্য আড়ম্বরপূর্ণ যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। শেষে দেখা গেছে, মৃত্যুর পর পেশাদারী শববাহকদের কাঁধে বোম্বাই ঘাটে শুয়ে বুড়ো কর্তার রাজকীয় শেষ যাত্রা। এখানে তারা আজীবনের বিলাসিতা, সৌখিনতা ও বৈভবের চিত্র প্রকাশ পেয়েছে।
ব্যক্তিত্ববান
ব্যক্তিত্বসম্পন্ন বুড়োকর্তা শয্যাশায়ী হয়েও নিজের পুত্র ও পুত্রবধূদের কাছে নিজের গুরুত্ব বজায় রেখেছিলেন। তার সেবায় পুত্রবধূরা উদায়স্থ পরিশ্রম কি করে চলেছে।
আসংযমী
বাড়ির কাজের লোক বাসিনি সংলাপ এগুলো কর্তার ব্যভিচারীর রূপটি প্রকাশ পেয়েছে। সে বলেছে- “তেকেলে বুড়ো। বাড়ির কর্তা। মরবেন? এই যে হোমের যোগান দিচ্ছে, ওই মুটকি ওর খাচ্ছে ওই।” ৮২ বছরের লিভার ক্যান্সারের আক্রান্ত বড় বাড়ির কর্তা স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তিনি অসংযমী জীবন যাপন করেছেন।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর
ছোটগল্প হিসেবে ‘ভাত’ কতদূর সার্থক হয়েছে তার বিচার করো?
‘ভাত’ গল্পে লেখিকার ভাষায় নৈপুণ্যের পরিচয় দাও ?
‘ভাত’ গল্প অবলম্বনে উচ্ছব নাইয়া চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো?
‘ভাত’ গল্প অবলম্বনে বুড়ো কর্তার চরিত্র বিশ্লেষণ করো
‘ভাত’গল্পে বাসিনী চরিত্রটি আলোচনা করো?
‘ভাত’ গল্প অবলম্বনে বড় বাড়ির আড়ম্বর আভিজাত্যের পরিচয় দাও।
‘ভাত’ গল্পে ভাত একটি প্রতীক হিসেবে প্রতিভাত হয়েছে।- আলোচনা করো?
“এ সংসারে সবকিছুই চলে বড় পিসিমার নিয়মে।”-বড়ো পিসিমা কে? গল্পে তার চরিত্রের কি পরিচয় পাওয়া যায়?
“সেই জন্যই হোম যোগী হচ্ছে।”- ‘হোম-যজ্ঞি’ হওয়ার কারণ কি? এই যজ্ঞের আয়োজন এর বর্ণনা দাও?
“পিসিমা দেখতে পেলে সর্বনাশ হবে।” -এ কথা কে কাকে বলেছে? পিসিমা দেখতে পেলে ‘সর্বনাশ’ হবে কেন?
“কপালটা মন্দ তার। বড়োই মন্দ।” -যার সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে তার কপালটা মন্দ কেন?
“উচ্ছবের হঠাৎ মনে হয় কলকাতায় গিয়ে খেয়ে মেখে আসি।”- উচ্ছবের হঠাৎ এরকম মনে হওয়ার কারণ কি ?
“লক্ষ্মী না আসতে সেধে ভাসান যাচ্ছে” -উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো?
“উচ্ছব কৌটোটা চেয়ে এনেছিল।” -কোন কৌটোর কথা বলা হয়েছে? কৌটোটা কেমন ছিল? সেই কৌতুক থাকলে কি হবে?
“গরিবের গতর এরা শস্তা দেকে।” -বক্তা কে? এ বক্তব্যের কারণ কি?
“তুমি কি বুঝবে সতীশবাবু!” -সতীশবাবু কি বুঝবে না? সতীশবাবু উচ্ছবের সঙ্গে কেমন আচরণ করেছিল?
“অন্ন লক্ষী, অন্ন লক্ষী, অন্নই লক্ষী, ঠাগমা বলত।”-বক্তার এই উপলব্ধির কারণ ব্যাখ্যা করো?
বড় বাড়ির যজ্ঞের আয়োজন ও কর্তা মহাশয়ের শবযাত্রার আয়োজন নিজের ভাষায় লেখ?