বক্তা
প্রশ্নে প্রদত্ত অংশটি সুভাষ মুখোপাধ্যায় রচিত ‘গারো পাহাড়ের নিচে’ নামক প্রবন্ধ থেকে গৃহীত হয়েছে। আলোচ্য অংশের বক্তা স্বয়ং লেখক।
যে কথা বলা হয়েছে
রচনাংশের একেবারে শেষে গিয়ে রচয়িতা তা নিজস্ব একটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। যদিও কখনো ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি কারো পাহাড়ে যায়, তাহলে গারো অধিবাসীরা তাকে তাদের বাঙাল বলে সম্বোধন করলে তারা যেন রেগে না যায়।
কথাটির প্রাসঙ্গিকতা
রচয়িতা ‘বাঙাল’ শব্দটির প্রয়োগের সঙ্গে সঙ্গে একটি কথা আমাদের স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে ‘বাঙাল’ এর অর্থই ‘বাঙালি’। তাই যদি গারদের মুখ থেকে বাঙাল শব্দটি উচ্চারিত হয় তাহলে তার অর্থ কিন্তু একই থাকবে। আসলে গাড়োরা আমাদের মতই বাংলাদেশেরই মানুষ কিন্তু কোথাও তারা আলাদা। আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতির সঙ্গে তাদের কোন মিল নেই। একই দেশের হওয়ার সবচেয়ে তারা অনেক পিছিয়ে। হয়তোবা আমরা এর জন্য অনেকটা দায়ী। তাই অভিমান করে তারাও আমাদের আপন করে নিতে পারেনি। আমাদের আর ওদের মাঝে বেশ ব্যবধান তৈরি হয়েছে। অতি সুকৌশলে এ গভীর বিষয়টিকে লেখক উপস্থাপিত করে পাঠককে সচেতন করে দিয়েছেন।
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর